মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন চত্বরে আয়োজিত হবে এই উৎসব। মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ করেছেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এবারের মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
ড. আহমেদ উল্লাহ জানান, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬৪ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ৩২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ ও মা-রার শোলা শিল্প। রাজশাহীর শখের হাড়ি। চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশী পাখা। রংপুরের শতরঞ্জি। সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশীকাঁথা, বেত-বাঁশ ও পাটের কারুশিল্প। সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি। কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প। রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য। কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা শিল্প। নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প। মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র। ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মোট ১৫৪টি স্টল থাকছে।
মেলা চত্বর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া মেলা চলবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
এছাড়াও লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজউৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান, ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের লোক ও কারুশিল্পের ঐতিহ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, গবেষণা, প্রদর্শন এবং পুনরুজ্জীবন এ মেলার মূল উদ্দেশ্য।